ভারতের রাষ্ট্রপতি শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মু বিশ্ব হোমিওপ্যাথি দিবসে একটি হোমিওপ্যাথি সিম্পোজিয়ামের উদ্বোধন করেছেন।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি বলেন, হোমিওপ্যাথি একটি সহজ ও সহজলভ্য চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে অনেক দেশেই গৃহীত হয়েছে। সারা বিশ্বে, আন্তর্জাতিক, জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে অনেক প্রতিষ্ঠান হোমিওপ্যাথির প্রচার করছে। ভারতে হোমিওপ্যাথির প্রচারে অবদানের জন্য তিনি আয়ুষ মন্ত্রক, হোমিওপ্যাথিতে গবেষণার জন্য কেন্দ্রীয় কাউন্সিল, হোমিওপ্যাথি জাতীয় কমিশন, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হোমিওপ্যাথি এবং কেন্দ্রীয় সরকারের এই জাতীয় সমস্ত প্রতিষ্ঠানের প্রশংসা করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, একবিংশ শতাব্দীতে গবেষণার গুরুত্ব ক্রমাগত বাড়ছে। তাই এই সিম্পোজিয়ামের থিম ‘এমপাওয়ারিং রিসার্চ, ইনহ্যান্সিং প্রফিসিয়েন্সি’ খুবই প্রাসঙ্গিক। তিনি জোর দিয়েছিলেন যে হোমিওপ্যাথির গ্রহণযোগ্যতা এবং জনপ্রিয়তা আরও বৃদ্ধিতে গবেষণা এবং দক্ষতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, হোমিওপ্যাথির অলৌকিক কাজ থেকে উপকৃত হয়ে বিভিন্ন পদ্ধতিতে চিকিৎসার পর হতাশ হয়ে পড়া ব্যক্তির এমন অভিজ্ঞতা অনেকেই শেয়ার করেন। কিন্তু, এই ধরনের অভিজ্ঞতা বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের মধ্যে স্বীকৃত হতে পারে যখন তথ্য এবং বিশ্লেষণের সাথে উপস্থাপন করা হয়। বৃহৎ পরিসরে করা এই ধরনের বাস্তব বিশ্লেষণকে প্রামাণিক চিকিৎসা গবেষণা বলা হয়। বৈজ্ঞানিক কঠোরতাকে উৎসাহিত করা এই চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা আরও বাড়াবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সুস্থ মানুষরাই সুস্থ সমাজ গঠন করে। সুস্থ সমাজের ভিত্তির ওপর গড়ে ওঠে একটি সুস্থ জাতি। তিনি ব্যক্ত করেছেন যে সমস্ত স্বাস্থ্যসেবা পেশাদাররা একটি সুস্থ, সমৃদ্ধ এবং উন্নত ভারত গড়তে অমূল্য অবদান রাখবেন।
0 মন্তব্যসমূহ