পান্তা ভাত বলে মোটেও হেলাফেলার পাত্র নয় সে,পান্তা ভাতের যা উপকারিতা তা শুনলে আপনি চমকে উঠতে বাধ্য।
বাঙালির অতি সুপরিচিত খাবার পান্তা ভাত। যার পুষ্টিগুণ অতুলনীয়। হ্যাঁ ঠিকই পড়েছেন ,পান্তা ভাতের গুনাগুন সম্পর্কে জানলে আপনি এটা ছেড়ে থাকতে পারবেন না। অন্তত এই তীব্র গরমের দিনে।
শুধু পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি নন ,ভারতবর্ষের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ এবং পড়শি বাংলাদেশে ও এই খাবার অতি পছন্দ করেন। পান্তা ভাতের যা উপকারিতা তা শুনলে আপনি চমকে উঠতে বাধ্য। পান্তা ভাত বলে মোটেও হেলাফেলার পাত্র নয় সে।
পান্তা ভাত কিভাবে তৈরি হয় -- সাধারণ ভাতে জল ঢেলে মোটামুটি ১৮-২৪ ঘন্টা রেখে দিয়ে পর দিন সকালে ও সেটি খাওয়া যেতে পারে। তবে মনে রাখবেন ,২৪ ঘন্টার পুরনো পান্তা ভাত না খাওয়াই ভালো।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ;- রক্তচাপের সমস্যায় ভোগা রোগীদের ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত কার্যকরী। সাধারণ ভাতের তুলনায় এতে পটাশিয়ামের পরিমান বেশি থাকে এবং সোডিয়ামের পরিমান তুলনামূলক কম থাকে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমাধান ;- দীর্ঘদিন কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যার সমাধানে মুশকিল আসান হতে পারে আপনার হাতের কাছে থাকা এই অতি পরিচিত পান্তা ভাত।
শরীরের রিহাইড্রেশন ;- গরমকালে আমাদের শরীর থেকে এমনিতেই প্রচুর পরিমানে জল বেরিয়ে যায়। তাই শরীরকে রিহাইড্রেট রাখা অত্যন্ত জরুরী। তাই গরমকালে রিহাইড্রেটিং খাবার হিসাবে পান্তা ভাতকে রাখতেই পারেন।
ভিটামিন B 12 এর উৎস :- অন্তত ১২ থেকে ২৪ ঘন্টার পুরনো পান্তা ভাত আমাদের জন্য খুবই উপকারী। ফার্মেন্টেশনের ফলে এতে B12 এর পরিমান বেড়ে যায়। তবে ২৪ ঘন্টার বেশি পুরনো পান্তা ভাত না খাওয়াই ভালো।
মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট এর উৎস :- মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট এর খনি বলা যেতে পারে পান্তা ভাতকে।ম্যাগনেশিয়াম ,আয়রন ,ক্যালশিয়াম এর মতো উপাদানের উৎস হতে পারে পান্তা ভাত। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়।,সাধারণ ১০০ গ্রাম গরম ভাতে যেখানে আয়রন থাকে 3.4mg ,সেখানে পান্তা ভাতে সেটির পরিমান বেড়ে দাঁড়ায় 73.91mg,ব্যাপারটা ভেবে দেখুন।
উপকারী ব্যাকটেরিয়া ;-উপকারী ব্যাকটেরিয়াতে ভরপুর এই পান্তা ভাত। সেইসঙ্গে সারাদিন কাজের অফুরন্ত শক্তির জোগান দেয়। আর হজম ক্ষমতা বাড়ায়।
অনিদ্রার সমস্যা ;- যাদের ঘুমের সমস্যা ,অর্থাৎ যারা অনিদ্রায় ভোগেন তাঁদের জন্য মহৌষধি হিসাবে কাজ করতে পারে পান্তা ভাত। খেয়ে পরখ করে দেখতে পারেন।
0 মন্তব্যসমূহ