পালং শাকে রোগমুক্তি
শীতকাল এলে বাঙালির পাত সেজে ওঠে পালং শাকের হরেক রকম পদে। মধ্য প্রাচ্য থেকে চীন ঘুরে ইউরোপ এবং তারপরে উপমহাদেশে আসে এই সুপারফুড। মিনারেল , ভিটামিন , ফাইট নিউট্রিয়েন্টস এবং পিগমেন্টস এ সমৃদ্ধ এই পালং শাক। একনজরে দেখে নেওয়া যাক এই সুপারফুড এর গুনাগুন।
ব্লাড প্রেসার এর সমস্যায়
বর্তমান দিনে ব্লাড প্রেসার এর সমস্যায় ভোগেন না এমন মানুষ পাওয়াই দুস্কর। পালং ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। উচ্চ পরিমানে পটাসিয়াম এবং সামান্য পরিমান সোডিয়াম রয়েছে পালং শাক এ। এতে উপস্থিত ফোলেট হাইপারটেনশন কমায় আর রক্ত জালিকার চাপ কমায়।
ত্বকের সুরক্ষায়
বিভিন্ন ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস ও পিগমেন্টের উপস্থিতি আমাদের ত্বককে ক্ষতিকর UV রশ্মির হাত থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধী হিসেবে কাজ করে
ব্লাডার,প্রস্টেট ,লিভার ও ফুসফুস এর ক্যান্সার প্রতিরোধে এই শাকের গুরুত্ব অপরিসীম। পালং এ উপস্থিত টোকোফেরল , ফোলেট , ও ক্লোরোফাইলিন ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে
পালং শাক এ থাকা বিটা ক্যারোটিন ,লিউটেনিন , জানথিন দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। এটি ভিটামিন এ এর ডেফিসিয়েন্সি কমায়।চোখের শুস্কতা দূর করতে এবং ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।

ডায়াবিটিস এর ধন্বন্তরি
এতে থাকা আল্ফ়া লিপোয়িক অ্যাসিড নামের এন্টিঅক্সিডেন্ট রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমায় এবং শরীরে ইন্সুলিন সেনসিটিভিটি বাড়ায়। যা ডায়াবিটিস প্রতীরোধে অভূতপূর্ব কার্যকরী।
হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায়
মজবুত হাড়ের গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান ভিটামিন K এতে উপস্থিত। যা আমাদের হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় সাহায্য করে।
এজমা প্রতিরোধে সাহায্য করে ( click here )
পালং শাক এ থাকা বিটা ক্যারোটিন এবং অন্যান্য পুস্টিকর উপাদান এজমা প্রতিরোধে সক্ষম।
মেটাবলিজম বাড়ায়
পালং এ থাকা বিভিন্ন ভিটামিন কে খুব সহজেই এনজাইম ভেঙে দিয়ে তৈরি করে এমাইনো অ্যাসিড। এটি আমাদের বিভিন্ন ক্ষত নিরাময়ে ,এবং পেশির বৃদ্ধি তে সহায়তা দেয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
প্রচুর পরিমানে জল এবং ফাইবার আছে পালঙে। এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় এবং পরিপাক তন্ত্র সঠিক থাকে।
0 মন্তব্যসমূহ