ওবিসি শংসাপত্র মামলায় রাজ্যের স্বস্তি: হাই কোর্টের রায় স্থগিত সুপ্রিম কোর্টে

ওবিসি শংসাপত্র মামলায় রাজ্যের স্বস্তি: হাই কোর্টের রায় স্থগিত সুপ্রিম কোর্টে.

OBC শংসাপত্র মামলা 2025,Supreme Court স্থগিতাদেশ OBC.



     image source - sci 

ওয়েব ডেস্ক,bangabarta.in : ওবিসি শংসাপত্র সংক্রান্ত মামলায় রাজ্য সরকারের দাবিকে স্বীকৃতি দিল দেশের শীর্ষ আদালত। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের পরিবর্তে দায়িত্বে থাকা বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের পর্যবেক্ষণে স্পষ্ট বলা হয়েছে, “সরকারের প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে হাই কোর্ট যে ভাবে হস্তক্ষেপ করেছে, তা দেখে আমরা বিস্মিত।”
সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী, হাই কোর্টের অর্ডার ক্রুটিপূর্ণ। পরবর্তী শুনানি হবে আগামী দুই সপ্তাহ পরে। এই অন্তর্বর্তী নির্দেশে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে রাজ্য সরকার, কারণ এর ফলে কলেজে ভর্তি ও সরকারি চাকরির নিয়োগ সংক্রান্ত প্রক্রিয়া আপাতত জট মুক্ত হল।
সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের পক্ষে প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বল দাবি করেন, “কলকাতা হাই কোর্টের স্থগিতাদেশের ফলে প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া থমকে রয়েছে। ৯ লক্ষ আসনে ছাত্র ভর্তি আটকে আছে। সব রকম প্রমোশনও বন্ধ হয়ে গিয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “রাজ্য সরকার বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা ও কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতেই তালিকা প্রস্তুত করেছে।”
ওবিসি তালিকা হাই কোর্ট রায়,WB OBC Certificate Case Update,Teacher Recruitment OBC Certificate,কলেজ ভর্তি ওবিসি শংসাপত্র,ওবিসি সংরক্ষণ মামলা পশ্চিমবঙ্গ,ওবিসি রায় আজকের খবর,OBC Certificate High Court Verdict
তবে মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবী রঞ্জিত কুমার পাল্টা যুক্তি দেন, “রাজ্য সরকার কোনো নির্দিষ্ট সমীক্ষা না করেই ২০১০ সালের পরে একাধিক জনগোষ্ঠীকে ওবিসি তালিকায় যুক্ত করেছে। ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস কমিশনের সুপারিশ মানা হয়নি। এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ বেআইনি।”

উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, “কমিশন একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনেই কাজ করেছে। সেই অনুযায়ী রাজ্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা হাইকোর্টকে নতুন একটি বিশেষ বেঞ্চ গঠনের পরামর্শ দেব, যাতে মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি সম্ভব হয়। ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যে শুনানি শেষ করার কথা বলব।”

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের পরে ওবিসি তালিকায় নতুনভাবে যুক্ত জনগোষ্ঠীর শংসাপত্র অবৈধ বলে ঘোষণা করেছিল কলকাতা হাই কোর্ট। যার ফলে, নিয়োগ ও ভর্তি প্রক্রিয়ায় নথিভুক্ত হাজার হাজার প্রার্থী সমস্যায় পড়েন। রাজ্য সরকার সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় এবং আজকের এই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মাধ্যমে সাময়িক স্বস্তি পায়।

সুপ্রিম কোর্ট আগামী শুনানিতে হাই কোর্টের নির্দেশের সারবত্তা খতিয়ে দেখবে। ততদিন পর্যন্ত ওবিসি তালিকাভুক্তির উপর জারি থাকা হাই কোর্টের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকছে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ