রাত পোহালেই তৃনমূলের ২১ জুলাই সভা। ধর্মতলার মঞ্চও প্রায় তৈরি হবার শেষের মুখে । কি চিত্র আগামিকালের তৃনমূলের এই সভা ঘিরে ।

রাত পোহালেই তৃনমূলের ২১ জুলাই সভা। ধর্মতলার মঞ্চও প্রায় তৈরি হবার শেষের মুখে । কি চিত্র আগামিকালের তৃনমূলের এই সভা ঘিরে ।

প্রতিবছরের মত এবারও তৃনমূলের শহীদ দিবসের প্রস্তুতি তুঙ্গে।



ওয়েব ডেস্ক , bangabarta.in - ২১ জুলাইয়ের জন্য দূরের জেলা থেকে শহরে আসতে চালু করেছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। আপাতত ঠিক হয়েছে, ২১ জুলাইয়ের দিন অতিরিক্ত ৫০০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ।ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার ৩১ জন অফিসার,যুগ্ম কমিশনার পদমর্যাদার জন অফিসারকে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার ৮০ জন অফিসার থাকবেন। কুড়ি টি উঁচু বাড়ির ছাদ থেকে নজরদারি চালাবে পুলিশ। আপৎকালীন অবস্থা  সামলাতে থাকছে ১৮টি অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা সহযোগিতা ডেস্ক ৪৮টি, সিসি ক্যামেরা ৪৫টি। এছাড়াও  দুর্দশা মোকাবিলা দফতরের ৪টি টিমও থাকবে সাথে  ৬টি কুইক রেসপন্স টিমও তৈরি রাখা হচ্ছে । এছাড়া মেট্রোয় বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা করা আসতে আরম্ভ করেছেন নেতা-কর্মীরা...

২১ জুলাইয়ের জন্য এর মধ্যেই দূরের জেলা থেকে শহরে আসতে চালু করেছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। কসবায় অবস্থিত  গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে মালদা তার সাথে মুর্শিদাবাদের তৃণমূল কর্মীদের থাকা-খাওয়ার অ্যারেঞ্জমেন্ট করা হয়েছে। গত কাল  বুধবার প্রারম্ভিক ব্যবস্থাপনা ঘুরে দেখেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন  তিনি । গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে মেনুতে থাকছে সয়াবিনের তরকারি আর ডিম, ভাত। উত্তরবঙ্গ থেকে আসা তৃণমূল কর্মী, সমর্থকদের ভিড় শিয়ালদা স্টেশনে। সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দুই দিনাজপুর দার্জিলিঙের কর্মী-সমর্থকদের থাকার আয়োজন করা হয়েছে। একের পর এক ট্রেনে কলকাতায় আসতে শুরু করেছেন তৃণমূল কর্মী, সাপোর্টাররা । একই ছবি দেখা যাচ্ছে  হাওড়া স্টেশনেও। বছর ২১ জুলাইয়ের এই সভা  তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের নিকট বিশেষ ভাবে ইম্পোর্টেন্ট বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সব মিলিয়ে দাপুটে জয় সত্ত্বেও বেশ কিছুটা অস্বস্তিতে রয়েছে তৃণমূল বলে  মনে করছেন  রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।কয়েক দিন আগেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। তাতে ফের স্পষ্ট হয়েছে সবুজ ঝড়ের দাপট। পাল্লা দিয়ে অশান্তি ভোট লুটের অভিযোগও উঠেছে। শাসকদল বার বার এগুলিকে 'বিক্ষিপ্ত ঘটনা' এবং 'বিরোধীদের চক্রান্ত' বলে অভিহিত করলেও অস্বস্তির কাঁটা পুরোপুরি এড়ানো যায়নি বলেই রাজনৈতিক মহলের অভিমত।  এই তৃণমূলেরই একাধিক নেতার মুখে হিংসা-বিরোধী বার্তা শোনা গিয়েছে এর মধ্যে।  তার উপর, নিকটবর্তী লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে বিজেপি-বিরোধী জোটে সামিল হয়েছে তৃণমূল। এই অবস্থায়, ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ হতে তৃণমূলনেত্রী কী মেসেজ দেন, সে দিকে নজর থাকবে রাজ্য তথা গোটা দেশের।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ