রানী নেফারতিতির মমির খোঁজ মিলেছে, দাবি মিশরের প্রত্নতত্ববিদদের।

রানী নেফারতিতির মমির খোঁজ মিলেছে,  দাবি মিশরের প্রত্নতত্ববিদদের।



ওয়েব ডেস্ক bangabarta.in :- মিশরের রানী নেফারতীতির মমির খোঁজ কি সত্যিই পাওয়া গেল ? একটি মার্কিন সাপ্তাহিক পত্রিকা জানিয়েছে অন্তত তেমনি দাবি মিশরীয় প্রত্নতত্ত্ববিদ জাহি হাওয়াসের।  প্রত্নতাত্ত্বিক মিশরের ওই প্রাক্তন 'মিনিস্টার অফ স্টেট ফর অয়ান্টিকুইটি অ্যাফেয়ার্স' গত কয়েক দশক ধরে খনকার্য করে চলেছেন রানী নেফারতিতির সৌধের  খননকার শুরু করেন গত ৯ ডিসেম্বর থেকে। 

প্রত্নতত্ত্ববিদ কি বলেছেন

প্রত্নতত্ত্ববিদ হাওয়াস ও তার টিম খননকার্য চালাচ্ছিলেন লাক্সর-র পশ্চিম পাড়ে। ওই প্রত্নতত্ববিদ  সেই সূত্রে বলেন দুটির নামহীন মমির খোঁজ পেয়েছি কেভি ২১ এ এবং কেভি ২১ বি নামে।  ওই প্রত্নতত্ত্ববিদ জোর দিয়ে বলেন, এই দুটি মমির মধ্যে একটি রানী নেফার তিতির ও অপরটি অনেখসুনামনের। প্রত্নতত্ত্ববিদদের জোরালো দাবি এ নিয়ে তারা নিশ্চিত ঘোষণা করতে পারবেন আগামী অক্টোবরের মধ্যে। হাওয়াস আরো বলেন, ওই সৌধ থেকে আরও একটি ছোট মমি পাওয়া গেছে। প্রত্নতত্ত্ববিদদের দাবি সেটি সম্ভবত একটি বালকের। এটি  একটি সম্ভবত দশ বছরের হবে।  কিছুটা রহস্য রেখে হাওয়াস জানালেন এই ছোট মামির ওপরে রানী নেফারতিতির মমি আবিষ্কারের বড় দিক নির্ভর করছে। 

ইতিহাস

রানী নেফারতিতি ১৩৭০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ১৩৩০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত মিশরের রাজত্ব করতেন। তিনি বিয়ে করেছিলেন ফারাও আকেনাতেনকে। তিনি রাজত্ব করতেন তুমুল বৈভবের মধ্যে। ফারাও  তুতানখামেন তারই ছেলে। হাওয়াস এর দাবি এই তুতেনখামেন এর স্ত্রীঅনেখসুনামনের মমী পাওয়া গেছে। রানী নেফারতিতি স্বামীর মৃত্যুর পর একা রাজত্ব সামলে ছিলেন। কার্যত কিংবদন্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে নেফারতিতির আরো একটি তথ্য। সেটি হলো তার রূপ। যদিও পুরোটাই এখনও প্রমাণের অপেক্ষায়। মিশরের প্রাক্তন 'মিনিস্টার অফ স্টেট ফর অয়ান্টিকুইটি অ্যাফেয়ার্স' এর দাবি তিনি এই দুটি মমির মধ্যে একটি রানী নেফারতিতির তা অক্টোবরের মধ্যেই প্রমাণ করে দেবে। হাওয়াস এ  কথা মনে করিয়েছেন যে ফারাও আকেনাতেন থেকে ফারাও দ্বিতীয় আমেনহোটটেপ এবং ফারাও তৃতীয় আমেনহোটটেপ এর মমির ডিএনএ  রয়েছে তাদের কাছে। শুধু শেষ কয়েকটি সমস্যার সমাধানের অপেক্ষা 'পাজল' র। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ