পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানা এলাকায় অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষিতা

পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানা এলাকায় অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষিতা। 



ওয়েব ডেস্ক bangabarta.in:-  দেবীপক্ষ পড়ে গেছে পিতৃপক্ষের অবসান ঘটিয়ে। আমরা সবাই  তৈরি মাকে বরণের জন্য। তার মধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের একটি গ্রামে ঘটে গেল একটি মর্মান্তিক ঘটনা। তৃতীয়ার রাতে দুই মাতাল যুবক এক অনুঢ়া নাবালিকা বালিকাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। ওই বালিকা অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। ওই গ্রামের উৎসবের আনন্দ ম্লান হয়ে গেল এই মর্মান্তিক ঘটনায়। ওই দুই যুবককে পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও গ্রামবাসীদের অভিযোগ পুলিশ যদি আগে এই চোলাই কারবারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতো তাহলে তাদের এমন দুর্ভাগ্যের দিন দেখতে হতো না। 
সেখানকার গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন ওই কিশোরীর বাবা নিজেও মদ্যপ আর তার মা মানসিক ভারসাম্যহীন। দুষ্কৃতীরা তারই সুযোগ গ্রহণ করে।  রাতের অন্ধকারে ওই নাবালিকা মেয়েকে ফুঁসলে বাড়ির পাশের গোয়াল ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি ঘটে দাসপুর থানার নাড়াজোল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ধর্ষিতার পরিবারের অভিযোগ মঙ্গলবার রাতে তাদের মেয়েকে ওই দুই যুবক বাড়ি থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে এক গোয়াল ঘরে নিয়ে যায় এবং মুখে কাপড় বেঁধে ধর্ষণ করে। 
মঙ্গলবার রাতেই দাসপুর থানায় অভিযোগ জানায় নাবালিকার  দাদু ঠাকুমা। পুলিশ জানায় ,অভিযোগ শুনে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে যৌন অপরাধবিরোধী শিশু  সুরক্ষা আইন তথা পকসো 
ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই দুই যুবকের নাম সরোজ বক্সী ও সাহেব সেনাপতি। তাদের দুজনেরই বাড়ি নাড়াজোল গ্রামে। পুলিশ সূত্রে খবর অভিযুক্তরা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছে।

গ্রাম বাসীরা আরো জানিয়েছেন এক চোলাইয়ের ঠেক রয়েছে বড় দোলই পাড়ার ভেতরে। ওই দুই যুবক সেখান থেকে মদ্যপান করে ফিরছিল আর ওই নাবালিকাকে সামনে পেয়ে গোয়াল ঘরে নিয়ে যায় এবং এমন ঘটনা ঘটায়। তারা আরো বলেন ওই কিশোরী পারিবারিক প্রতিকূলতার পরিবেশের মধ্যেই পড়া চালিয়ে যাচ্ছে। ওই কিশোরী একটি স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে। 

প্রতিবেশীদের আরও দাবি যে এলাকায় প্রচুর চোলাই ঠেক গড়ে উঠেছে। এছাড়াও লুকিয়ে লুকিয়ে অনেকে চুরি করে চোলাই মদ বিক্রি করছে। পুলিশ আবগারি সবাই সব জানে কিন্তু কোন পদক্ষেপ নেয়নি এইসব চোলাই ঠেক এর জন্য জীবনগুলো নরক হয়ে উঠছে মানুষের। ঘরে ঘরে অশান্তি ,ঝগড়া,ঝাঁটি মহিলাদের মারধর ইত্যাদি। ছেলেদের গোঁফ গজানোর আগেই চোলাই এর কবলে পড়ছে। সারাদিনে পুরুষরা যা ইনকাম করে সব উড়িয়ে দেয় ওখানে। এই দিনটাই দেখার বাকি ছিল সেটাও দেখা হয়ে গেল। 

উল্লেখ্য, কদিন আগেই এই চোলাই মদ বিরোধী কমিটি তৈরি করেছে দাসপুরের একটি গ্রাম। তারা গ্রামে মদ নিষিদ্ধ করছেন। গ্রামের মোড়ে মোড়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ব্যানার টাঙিয়ে দিয়েছে যে কেউ যদি মদ বিক্রি করে তাহলে তার দশ হাজার টাকা জরিমানা হবে এবং যে কিনবে তার পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা হবে। তারা জানিয়েছেন যে এই অবলম্বন করতে হয়েছে পুলিশের উপর ভরসা হারিয়ে। সকলের প্রশ্ন এই কাজ কাদের করার কথা ? এই যে কিশোরী তার লজ্জা হারালো এটা কি শুধু তারই ,প্রশাসনের নয় ?এরকম চোলাইয়ের দাপট কত দিন সহ্য করতে হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ