এনামুল ঘনিষ্ঠ জেনারুল শেখ গরু পাচার কাণ্ডে গ্রেফতার

এনামুল ঘনিষ্ঠ জেনারুল শেখ গরু পাচার কাণ্ডে গ্রেফতার। 

ওয়েব ডেস্ক bangabarta.in : - জেনারুল শেখ নামে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি , যে গরু পাচারের সাথে যুক্ত।  তার বাড়ি রঘুনাথ গঞ্জ থানার বড় শিমুলিয়ায়। গোয়েন্দারা তাকে শনিবার বহরমপুর থেকে ধরে আনেন। এই মামলায় আরও এক ব্যবসায়ীকে সিবিআই গ্রেফতার করে যার নাম এনামুল হক।  সিআইডির দাবি এনামুলের ঘনিষ্ঠ জেনারুল। এমনকি এনামুল যখন থাকতেন না তখন জেনারুল এই গরু পাচারের ব্যবসা দেখতেন দাবি গোয়েন্দাদের। এই গরু পাচারের কায়দা নিয়েও রীতিমত তাজ্জব গোয়েন্দারা। 

সূত্রের দাবি , গরু পাচারের পথে কাস্টমস গরু বাজেয়াপ্ত করত । সেগুলি পরে নিলামে বিক্রি করত। সেই গরুগুলিকে নিলাম থেকে কিনে ঘুরে পাচার করতেন জেনারুল। কিন্তু সেই রাস্তা কয়েক বছর পরেই বন্ধ হয়ে যায়। পরে জেনারুল কাস্টমসের বদলে বিএসএফের একাংশের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তোলে। বিএসএফের ওই কর্মীরা যে গরু গুলিকে পাচারের হাত থেকে বাঁচাতেন সেগুলিকে সরকারি খাতায় দেখাতেন না। যদিও সিআইডি এখনো কোনো বিএসএফ কর্মীর নাম জানতে পারেনি ,তবে অনেকের দাবি জেনারুলকে জেরা করে বাকিদের নাম  জানার চেষ্টা করা হবে এবং এটাও দেখা হবে যে পুলিশের কেউ জড়িত  আছে কিনা। 

উত্তর ২৪ পরগনার মাটিয়া এবং মুর্শিদাবাদের  রঘুনাথগঞ্জ থানার ২০১৭ এবং ২০১৯ সালের দুটি গরু পাচার মামলার নতুন করে তদন্ত শুরু হয় আগস্ট মাসে এডিজি সিআইডির নির্দেশে। জেনারুলকে রাঘুনাথগঞ্জের মামলাতেই গ্রেফতার করা হয়। 

প্রসঙ্গত , এই মামলায় সিবিআইয়ের হেফাজতে এখন এনামুল হক ,অনুব্রত মন্ডল,সায়গল হোসেন এবং রাডারে আব্দুল লতিফা যিনি অনুব্রতের ঘনিষ্ঠ। এখন পলাতক  সেই লতিফ। অনেকের অনুমান , লতিফ বাংলাদেশে পালিয়েছে।  কিন্তু ইসলামাবাজারে এক দড়ি  বিক্রেতা  কোটি কোটি টাকার মালিক হলো কিভাবে তাই তদন্ত করছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা মনে করছে লতিফকে গ্রেফতার করলেই এই মামলার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে। কারণ বীরভূমের করিডর ছিল ইসলামবাজার হাট। সায়গলের কাছে টাকা পৌঁছে দিত লতিফ এই বলে দাবি করা হয়েছে। এমনকি লতিফ এটাও দেখাশোনা করত যে গরু কথা দিয়ে কিভাবে মুর্শিদাবাদে পৌঁছবে। এইজন্য মনে করা হচ্ছে লতিফকে গ্রেফতার করলেই  পাওয়া যাবে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ